بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়াল
২/১ অধ্যায়ঃ নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর বাণীঃ ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করাই হচ্ছে ঈমান এবং তা বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায় (কোন কোন ফকীহদের নিকট ঈমান বাড়েও না কমেও না। বরং সমান থাকে। তাদের নিকট একজন নবীর ঈমান ও ইবলিসের ঈমান এক সমান। তাদের এই আকীদাহ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। এটা মুরজিআহ সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত আকীদাহর অন্তর্ভূক্ত)। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান মজবুত করে নেয়- (সূরা ফাতহ ৪৮/৪)। আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম-(সূরা কাহফ ১৮/১৩)। এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের অধিক হিদায়াত দান করেন-(সূরাহ মুদদাসসির ৭৪/৩১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বাড়িয়ে দিল? যারা মু‘মিন এ তো তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়- (সূরা আত-তাওবাহ ৯/১২৪)। এবং তাঁর বাণী, ‘‘সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর; একথা তাদের ঈমানের দৃঢ়তা বাড়িয়ে দিল”- (সূরা আল-ইমরান ৩/১৭৩)। ‘‘আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বাড়লো”- (সূরা আহযাব ৩৩/১৭৩)। ‘‘এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্য আরও বৃদ্ধি পেল”- (সূরা আহযাব ৩৩/২২)।
আর আল্লাহর জন্য ভালবাসা ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহ.) ‘আদী ইবনু ‘আদী (রহ.)- এর নিকট এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘ঈমানের কতকগুলো ফারয, কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পরিপূর্ণরূপে আদায় করে তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট ব্যক্ত করব, যাতে তোমরা তার উপর ‘আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি আকাঙিখত নই।’
ইবরাহীম (আঃ) বলেন, ‘তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (সুরা আল-বাকারাহ ২/২৬)। মু‘আয (রাযি.) বলেন, ‘‘এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি।’’ ইবনু মাস‘উদ (রায়) বলেন, ‘ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান।’ ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, ‘বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌছাতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয় সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে।’ মুজাহিদ (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘‘অর্থাৎ হে মুুহাম্মদ (সা.)! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি’’- (সূরাহ শূরা ৪২/১৩)। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, ‘‘অর্থাৎ পথ ও পন্থা’’- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৪৮)।
আল্লাহর রসূল (সা.) এর প্রতি কীভাবে ওয়াহী শুরু হয়েছিলো, পড়তে এখানে ক্লিক করুন