بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
১) নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্য তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। (সূরা বাক্বারাহ-২৭৭)
২) কিন্তু যারা তাদের মধ্যে জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে । আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত দানকারী এবং যারা আল্লাহ্ ও কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুত: এমন লোকদেরকে আমি দান করবো মহাপুণ্য। (সূরা নিসা-১৬২)
৩) বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহ্র উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসুলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্যধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। (সূরা বাক্বারাহ-১৭৭)
৪) হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা কামনা করতাম, আমাদের উপস্থিতিতে নবী করিম (সাঃ) এর কাছে এসে কোন জ্ঞানবান বেদুঈন যদি প্রশ্ন করতো তবে কতোই না ভাল হতো। আমরা এ অবস্থায় থাকাকালে এক বেদুঈন এলো। তারপর নবী করিম (সাঃ) এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। বললো, হে মুহাম্মদ! আপনার বার্তাবাহক আমাদের কাছে এসে বলেছেন, আপনি নাকি বলেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? এ শুনে নবী করিম (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ।
লোকটি জিজ্ঞেস করলো, যিনি আসমানকে উঁচু করে বানিয়েছেন এবং জমিনকে বিস্তৃত করে দিয়েছেন, আর পর্বতগুলোকে গেড়ে দিয়েছেন তার শপথ! আল্লাহ্ তা’আলা কি আপনাকে রাসুলরূপে পাঠিয়েছেন? জবাবে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, হ্যাঁ। ……….লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক আমাদের সামনে বলেছেন, আপনি বলেন, আমাদের উপর মালের যাকাত রয়েছে? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে। লোকটি বললো, যে সত্তা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন তার কসম! আল্লাহ্ কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন হ্যাঁ। লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক বলেছেন, আপনি এরশাদ করেন যে, আমাদের উপর বছরে এক মাসের রোজা ফরজ? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ।
লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক আমাদের সামনে বলেছেন, আপনি বলেন, আমাদের ওপর আমাদের মালের যাকাত রয়েছে? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে। লোকটি বললো, যে সত্তা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন তার কসম! আল্লাহ্ কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন হ্যাঁ। লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক আমাদের কাছে বলেছেন, আপনি নাকি বলেন,যার হজ করার সামর্থ আছে তার উপর বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন হ্যাঁ। ।
লোকটি বললো, যে সত্তা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন তার কসম! আল্লাহ্ কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন হ্যাঁ। লোকটি বললো, যিনি আপনাকে হক সহকারে পাঠিয়েছেন তার কসম, আমি এগুলো হতে কোনো কিছুই ছাড়ব না এবং এগুলো হতে অতিক্রম করবো না। তারপর লোকটি দ্রুত চলে যেতে লাগলো। তখন নবী করিম (সাঃ) বললেন, এই বেদুঈন যদি সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে যাবে। (তিরমিযী শরীফ-৬১৯)