بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
১) আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। (সূরা বাক্বারাহ-৪৩)
২) তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্য পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে। (সূরা বাক্বারাহ-১১০)
৩) নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসুলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। (সূরা নূর-৫৬)
৪) আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্য দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ্ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেণ। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ্কে উত্তম ঋন দাও। (সূরা মুয্যাম্মিল-২০)
৫) হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা কামনা করতাম, আমাদের উপস্থিতিতে নবী করিম (সাঃ) এর কাছে এসে কোন জ্ঞানবান বেদুঈন যদি প্রশ্ন করতো তবে কতোই না ভাল হতো। আমরা এ অবস্থায় থাকাকালে এক বেদুঈন এলো। তারপর নবী করিম (সাঃ) এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। বললো, হে মুহাম্মদ! আপনার বার্তাবাহক আমাদের কাছে এসে বলেছেন, আপনি নাকি বলেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? এ শুনে নবী করিম (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। লোকটি জিজ্ঞেস করলো, যিনি আসমানকে উঁচু করে বানিয়েছেন এবং জমিনকে বিস্তৃত করে দিয়েছেন, আর পর্বতগুলোকে গেড়ে দিয়েছেন তার শপথ! আল্লাহ্ তা’আলা কি আপনাকে রাসুলরূপে পাঠিয়েছেন? জবাবে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, হ্যাঁ। ……….লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক আমাদের সামনে বলেছেন, আপনি বলেন, আমাদের উপর মালের যাকাত রয়েছে? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে। লোকটি বললো, যে সত্তা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন তার কসম! আল্লাহ্ কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন হ্যাঁ। (তিরমিযী শরীফ-৬১৯)