সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
سَتَجِدُونَ آخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأْمَنُوكُمْ وَيَأْمَنُوا قَوْمَهُمْ كُلَّ مَا رُدُّوا إِلَى الْفِتْنَةِ أُرْكِسُوا فِيهَا ۚ فَإِن لَّمْ يَعْتَزِلُوكُمْ وَيُلْقُوا إِلَيْكُمُ السَّلَمَ وَيَكُفُّوا أَيْدِيَهُمْ فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ ۚ وَأُولَـٰئِكُمْ جَعَلْنَا لَكُمْ عَلَيْهِمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا
বাংলা অর্থ:
৯১। তোমরা নিশ্চয়ই এমনও কতক লোক পাইবে, যাহারা (প্রবঞ্চনা করিয়া) ইহাই কামনা করে যে, তোমাদিগকে হইতেও নিরাপদ হইয়া থাকে এবং স্বীয় সম্প্রদায় হইতেও নিরাপদ হইয়া থাকে; যখনই তাহাদিগকে দুষ্টামির (ও ফ্যাসাদের) প্রতি আকৃষ্ট করা হয়, তখনই তাহারা উহাতে পতিত হয়, সুতরাং এসমস্ত লোক যদি তোমাদিগ হইতে নিবৃত্ত না থাকে, এবং তোমাদের সহিত শান্তি রক্ষা না করে এবং স্বীয় হস্তসমমূহকে সংরুদ্ধ না রাখে, তবে তোমরা তাহাদিগকে ধর এবং হত্যা কর, যেখানেই তাহাদিগকে পাও; এবং আমি তোমাদিগকে তাহাদের উপর উজ্জ্বল প্রমাণ দিয়াছি।
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ أَن يَقْتُلَ مُؤْمِنًا إِلَّا خَطَأً ۚ وَمَن قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَأً فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ وَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰ أَهْلِهِ إِلَّا أَن يَصَّدَّقُوا ۚ فَإِن كَانَ مِن قَوْمٍ عَدُوٍّ لَّكُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ ۖ وَإِن كَانَ مِن قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَاقٌ فَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰ أَهْلِهِ وَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ ۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ تَوْبَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা অর্থ:
৯২। আর কোন মু‘মেনের শান এইরূপ নহে যে, কোন মু’মেনকে হত্যা করে, হাঁ ভ্রমবশতঃ আর যে ব্যক্তি ভ্রমবশতঃ কোন মু’মেনকে হত্যা করে, তবে তাহাকে একটি মুসলমান গোলাম বা দাসী আযাদ করিয়া দিতে হইবে, এবং রক্ত-বিনিময় (-ও ওয়াজেব) যাহা নিহত ব্যক্তির বংশধরগণকে সমর্পণ করিতে হইবে, তবে যদি তাহারা ক্ষমা করিয়া দেয়-আর যদি সেই (নিহত) ব্যক্তি এইরূপ সম্প্রদায়ভুক্ত হয়, যাহারা তোমাদের শত্রু অথচ সে নিজে মু’মেন, তবে একটি মুসলমান গোলাম বা দাসী আযাদ করিতে হইবে; আর যদি সে এমন সম্প্রদায়ভুক্ত হয় যে, তাহাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সন্ধি-চুক্তি রহিয়াছে, তবে রক্ত-বিনিময় (ওয়াজেব) যাহা তাহার বংশধরগণকে সমর্পণ করিতে হইবে, এবং একটি মুসলমান গোলাম বা দাসী আযাদ করিতে হইবে, তবে যে ব্যক্তি (ইহা) না পায়, তাহলে একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রাখিবে, যাহা আল্লাহর পক্ষ হইতে তওবা হিসাবে নির্ধারিত হইয়াছে; আর আল্লাহ্ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) অর্থাৎ, বাহ্যিক মেলামেশার দরুন তাহাদিগকে যুদ্ধক্ষেত্রে রেহাই দিওনা। কিন্তু দুই অবস্থায় (ক) তোমাদের সহিত সন্ধিভুক্ত লোকদের সহিত যাহাদের চুক্তি রহিয়াছে। (খ) যুদ্ধে অপরাগ হইয়া যাহারা তোমাদের সহিত এই শর্তে সন্ধি করিয়াছে যে, না নিজ সম্প্রদায়ের পক্ষে তোমাদের সহিত সংগ্রাম করিবে, না তোমাদের পক্ষে নিজ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবে। যদি তাহারা উভয় শর্ত রক্ষা করে, তবে ইহা খোদার অনুগ্রহ মনে করিও। (মুঃ কোঃ)
২) অর্থাৎ, যাহারা তোমাদের সহিত যুদ্ধ না করার চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছে, অতঃপর যদি তাহারা চুক্তি ভঙ্গ করতঃ স্বীয় সম্প্রদায়ের পক্ষ অবলম্বন করে, তবে তাহাদিগকে বিনা দ্বিধায় হত্যা কর, কারণ, তাহারা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করিয়াছে। উজ্জ্বল প্রমাণ বলিতে ইহাই বুঝা যায়। (মুঃ কোঃ)
وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا
বাংলা অর্থ:
৯৩। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে স্বেচ্ছায় হত্যা করিয়া ফেলে, তবে তাহার (মূল) শাস্তি (তো) জাহান্নাম ছিল যাহাতে সে অনন্তকাল থাকিত, (কিন্তু আল্লাহর করুণায়, ঈমানের বরকতে পরিশেষে মুক্তি পাইবে) এবং আল্লাহ্ তাহারা প্রতি ক্রুদ্ধ হইবেন এবং তাহাকে স্বীয় (বিশেষ) করুণা হইতে দূরে নিক্ষেপ করিবেন এবং তাহার জন্য ভীষণ শাস্তির ব্যবস্থা করিবেন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِندَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
বাংলা অর্থ:
৯৪। হে ঈমানদারগণ ! যখন তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলার পথে বহির্গত হও, তখন প্রত্যেক কাজই তাহ্কীক করিয়া করিও এবং এমন ব্যক্তিকে-যে তোমাদের সম্মুখে আনুগত্য প্রকাশ করে-এইরূপ বলিও না যে, তুমি মুসলমান নও, এই অবস্থায় যে, তোমরা পার্থিব জীবনের সরঞ্জাম কামনা কর, বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট প্রচুর গনীমতের মাল রহিয়াছে; প্রথমে তোমরাও এনরূপই ছিলে, অনন্তর আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছেন, অতএব,-ভাবিয়া দেখ; নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের কৃতকর্মের পূর্ণ খবর রাখেন।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) অজ্ঞতসারে, অনিচ্ছায় কিংবা ভুলক্রমে হত্যা করা কয়েক প্রকার হইতে পারে। ভুল করিয়া যে কোন প্রকার হত্যার দরুন হত্যাকারীর উপর দ্বিবিধ শাস্তি প্রজোয্য হইবে যথাঃ (ক) একজন মুসলমান ক্রীতদাস বা দাসীকে আযাদ করিয়া দেওয়া। সম্ভব না হইলে উপর্যুপরি পূর্ণ দুই মাস রোযা রাখা (খ) তদুপরি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদেরকে ‘দিয়ত’ অর্থাৎ, হত্যার বিনিময় দিতে হইবে। অবশ্য তাহারা মাফ করিয়া দিলে, মাফ হইবে। হত্যাকারীর আত্মীয় বন্ধুগণ তাহার পক্ষ হইতে ইহা তিন বৎসরের মধ্যে কয়েক কিস্তিতে আদায় করিবে। (মুঃ কোঃ)
২) স্বেচ্ছায় কোন মুসলমানকে হত্যা করিলে হত্যাকারী জাহান্নামী হইবে। তওবা কবূল হইবে না। তবে আল্লাহর ইচ্ছাধীন কিন্তু বিনিময়ে তাহাকে হত্যা করা হইলে সে নির্দোষ হইবে। (মুঃ কোঃ)
لَّا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা অর্থ:
৯৫। সমান নহে-সেই মুসলমানগণ কোন ওযর ব্যতিরেকে গৃহে বসিয়া থাকে এবং যাহারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে স্বীয় ধন-সম্পদ ও প্রাণ দিয়া; আল্লাহ্ তাহাদের মর্যাদা অনেক বেশী করিয়া দিয়াছেন যাহারা স্বীয় ধন ও প্রাণ দিয়া জেহাদ করে-গৃহে উপবিষ্টদের তুলানায়; আর সকলকেই আল্লাহ্ তা‘আলা উত্তম গৃহের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন; আর আল্লাহ্ মুজাহিদদিগকে গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় অতি মহান পুরস্কার দিয়াছেন।
دَرَجَاتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
বাংলা অর্থ:
৯৬। অর্থাৎ, বহু পদমর্যাদা যাহা আল্লাহর সন্নিধান হইতে প্রাপ্ত হইবে এবং ক্ষমা ও করুণা; আর আল্লাহ্ তা‘আলা অতিব ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنتُمْ ۖ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ ۚ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا ۚ فَأُولَـٰئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
বাংলা অর্থ:
৯৭। নিশ্চয়, যখন ফেরেশতাগণ এইরূপ লোকদের রূহ্ কব্য করেন-যাহারা (ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও হিজরত না করিয়া) নিজদিগকে পাপী করিয়া রাখিয়াছিল-তখন ফেরেশতাগণ তাহাদিগকে বলিবেন যে, তোমরা (ধর্মের কোন) কোন কর্মে ছিল? তাহারা (উত্তরে) বলিবে, আমরা যমীনে সম্পূর্ণ প্রভাবান্বিত ছিলাম; ফেরেশতাগণ বলিবেন, খোদার দুনিয়া কি প্রশস্ত ছিল না? তোমাদের উচিত ছিল স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া উহাতে চলিয়া যাওয়া; অতএব, তাহাদের ঠিকানা হইবে জাহান্নাম; আর উহা নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থান।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) হুযূর (দঃ) একদা এক সেনাবাহিনীকে কোন এক কাফের দলের বিরুদ্ধে পাঠাইলেন। উক্ত দলে একজন মুসলমানও ছিল। সে পৃথক একস্থানে দাঁড়াইয়া রহিল এবং মুসলমানদিগকে দেখিয়া সালাম করিল। কিন্তু মুসলমানগন মনে করিলেন, সে প্রাণ রক্ষার জন্যই সালাম করিতেছে। অতএব, তাহাকে হত্যা করিয়া তাহার ধন-সম্পদ লুন্ঠন করিয়া লইলেন। তখন এই আয়াতটি নাযিল হয়। (মুঃ কোঃ)
২) অক্ষমদের প্রতি জিহাদের দায়িত্ব নাই। তদ্ব্যতীত গৃহে অবস্থান কারীদের চেয়ে মুজাহিদগণের মর্যাদা অনেক উচ্চেঃ। (মুঃ কোঃ)
৩) মক্কার কতিপয় মুসলমান স্বীয় ইসলাম গ্রহণের কথা গোপন রাখিয়া কাফেনদের সহিত বাস করিত এবং তাহাদের সংগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করিত, নিহতও হইত। তাহাদের সম্বন্ধেই এই আয়াত নাযিল হয়। (মুঃ কোঃ)
إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا
বাংলা অর্থ:
৯৮। কিন্তু যে-সমস্ত পুরুষ ও নারী এবং শিশু (হিজরত করিতে) এমন অক্ষম যে, তাহারা কোন উপায়ই অবলম্বন করিতে পারে না এবং পথ সম্বন্ধেও জ্ঞাত নহে।
فَأُولَـٰئِكَ عَسَى اللَّهُ أَن يَعْفُوَ عَنْهُمْ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا
বাংলা অর্থ:
৯৯। সুতরাং, ইহাদের জন্য আশা করা যায় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাহাদিগকে মাফ করিয়া দিবেন; এবং আল্লাহ্ অতিশয় মার্জনাকারী, অতীব ক্ষমাশীল।
وَمَن يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَجِدْ فِي الْأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةً ۚ وَمَن يَخْرُجْ مِن بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
বাংলা অর্থ:
১০০। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করিবে, ভূপৃষ্ঠে সে যাইবার বহু স্থান পাইবে এবং (ধর্ম প্রকাশেরও) বহু সুযোগ (পাইবে); আর যে ব্যক্তি স্বীয় গৃহ হইতে এই উদ্দেশ্যে বহির্গত হয় যে, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের দিকে হিজরত করিবে, অতঃপর তাহার মৃত্যু উপস্থিত হয় তথাপিও আল্লাহর নিকট তাহার সওয়াব সাব্যস্ত হইয়া গিয়াছে; আর আল্লাহ্ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়।
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَن يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِينًا
বাংলা অর্থ:
১০১। আর যখন তোমরা যমীনে সফর কর তখন তোমাদের ইহাতে কোন পাপ হইবে না যে, তোমরা (যোহর, আছর ও এশার ফরয) নামায (-এর রাকাত)-কে কম করিয়া দাও, যদি তোমাদের এই আশঙ্কা হয় যে, কাফেররা তোমাদিগকে বিব্রত করিবে; নিঃসন্দেহে কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) আয়াতটিতে এমন লোকদের সম্বন্ধে বলা হইয়াছে যাহারা কাফেরদের দেশে থাকিয়া গোপনে ঈমান আনিয়া ছিল এবং অত্যাচারের ভয়ে প্রকাশ করিতে পারিত না। তাহারা উপার্জনক্ষম ও সফর সম্বন্ধে অভিজ্ঞ হইলে, হিজরত না করিয়া সেই অবস্থায় মৃত্যু হইলে শাস্তিযোগ্য হইবে। নিঃসহায় পরাধীন হইলে আল্লাহ্ মাফ করিবেন।(মুঃ কোঃ)
২) অর্থাৎ, হিজরত করিলে জীবিকার অভাব হইবে বলিয়া ভয় করিও না। পথে মৃত্যুর ভয়ও করিও না, পথে মরিলেও হিজরতের পূর্ণ সওয়াব পাইবে। (মুঃ কোঃ)
৩) মাস্আলাঃ ৪৮ মাইল বা তদুর্ধ্ব দূরত্বের সফরে চারি রাকাতবিশিষ্ট ফরয নামায দুই রাকাত পড়া ওয়াজিব। ইহাকে কয়র বলে। গন্তব্য স্থানে পৌঁছায়া পনরদিন বা তদুর্ধ্ব কাল থাকার নিয়ত করিলে পূর্ন নামায পড়িতে হইবে। (বঃ কোঃ)
وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِّنْهُم مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِن وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَىٰ لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ ۗ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَاحِدَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن كَانَ بِكُمْ أَذًى مِّن مَّطَرٍ أَوْ كُنتُم مَّرْضَىٰ أَن تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ ۖ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
বাংলা অর্থ:
১০২। আর যখন আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকেন এবং আপনি তাহাদিগকে (জামাআতে) নামায পড়াইতে চান তবে এইরূপ করিতে হইবে যে, তন্মধ্য হইতে একদল আপনার সঙ্গে (নামাযে) দাঁড়াইবে এবং তাহারা নিজেদের অস্ত্র-শস্ত্র সঙ্গে রাখিবে। অনন্তর যখন তাহারা সেজদা করিয়া (এক রাকাত পূর্ণ করিয়া) লয়, তখন তাহারা আপনাদের পিছনে যাইবে এবং অন্য দল যাহারা এখনও নামায পড়ে নাই তাহারা আসিবে এবং আপনার সঙ্গে নামায (-এর অবশিষ্ট এক রাকাত) পড়িয়া লইবে। এবং ইহারাও আত্মরক্ষার সরঞ্জাম এবং নিজ নিজ অস্ত্র-শস্ত্র সঙ্গে রাখিবে, (কেননা), কাফেররা ইহাই চায় যে, যদি আপনারা নিজ নিজ অস্ত্র-শস্ত্র এবং দ্রব্যসম্ভার হইতে (একটু) অসতর্ক হন তবে অমনি তাহারা আপনাদের উপর একযোগে আক্রমণ করিয়া বসিবে; আর যদি বৃষ্টির দরুন আপনাদের কষ্ট হয় অথবা আপনারা পীড়িত হন, তবে ইহাতে আপনাদের কোন পাপ না যে, আপনারা নিজেদের অস্ত্র-শস্ত্র খুলিয়া রাখেন, এবং (তবুও) নিজেদের আত্মরক্ষার উপকরণ (অবশ্যই) লইয়া লইবেন; নিশ্চয়, আল্লাহ্ তা‘আলা কাফেরদের জন্য লাঞ্ছনাময় শাস্তি প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন।
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
বাংলা অর্থ:
১০৩। অনন্তর যখন তোমরা এই নামায সম্পন্ন কর তখন তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করিতে থাক দাঁড়াইয়াও এবং বসিয়াও এবং শায়িত অবস্থায়ও, তৎপর যখন তোমরা নিশ্চিন্ত হও, তখন নামায পড়িতে থাক যথানিয়মে, নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরয করা হইয়াছে।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) ভয়কালীন নামাযের ব্যবস্থা এই যে, শত্রু সৈন্যেও সম্মুখীন অবস্থায় নামাযের সময় হইলে নিজেদের সৈন্যদিকে দুই দলে বিভক্ত করিবে। প্রত্যেক দল ইমামের সহিত অর্ধেক নামায পড়িবে, অবশিষ্ট নামায পড়িবে, অবশিষ্ট নামায নিজে নিজে পড়িবে। এনরূপ অবস্থায় নামাযের মধ্যে আশা যাওয়ার নামাযের ক্ষতি হইবে না। নামাযে নিজের সঙ্গে তীর, বল্লব, তরবারি ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র রাখাতেও নিষেধ নাই। জামাতে নামায পড়িবার অবকাশ না হইলে একাকী পড়িবে। পদাতিক অবস্থায় হউক, ইশারায় হউক, নামায আদায় করিবে। তাহাও সম্ভব না হইলে ক্বাযা করিবে।(মুঃ কোঃ)
২) আলোচ্য আয়াতে ইমামের সহিত প্রত্যেক দলেরই কেবল অর্ধেক নামায পড়ার বিবরণ রহিয়াছে; অবশিষ্ট নামায সম্বন্ধে বোখারী ও আবূ দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে। (বঃ কোঃ)
وَلَا تَهِنُوا فِي ابْتِغَاءِ الْقَوْمِ ۖ إِن تَكُونُوا تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَ ۖ وَتَرْجُونَ مِنَ اللَّهِ مَا لَا يَرْجُونَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা অর্থ:
১০৪। আর ভগ্নোৎসাহ হইও না এই বিরোধী সম্প্রদায়ের পশ্চাদ্ধাবন করিতে; যদি তোমরা ব্যথিত হইয়া থাক, তবে তাহারাও তো ব্যথা পাইয়াছে যেমন তোমরা ব্যথা পাইয়াছ, এবং তোমরা আল্লাহ্ও হুযূরে এমন এমন বস্তুও (সওয়াবের) আশা রাখ যে, তাহারা (যাহারা) আশা রাখে না; আর আল্লাহ্ তা‘আলা মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
إِنَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ ۚ وَلَا تَكُن لِّلْخَائِنِينَ خَصِيمًا
বাংলা অর্থ:
১০৫। নিশ্চয় আমি আপনার নিকট এই কিতাব প্রেরণ করিয়াছি (যদ্দ্বারা) বাস্তবানুরূপ (অবস্থা জানা যাইবে,) যেন আপনি মানুষের মধ্যে তদনুযায়ী মীমাংসা করেন যাহা আল্লাহ্ আপনাকে (ওহী দ্বারা) জানাইয়া দিয়াছেন; আর আপনি ঐ বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষপাতমূলক কথা বলিবেন না।
وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
বাংলা অর্থ:
১০৬। আর আপনি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন; নিশ্চয় আল্লাহ্ অতীব ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
وَلَا تُجَادِلْ عَنِ الَّذِينَ يَخْتَانُونَ أَنفُسَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمًا
বাংলা অর্থ:
১০৭। আর আপনি তাহাদের পক্ষ হইতে জরয় অবদিহির কোন কথা বলিবেন না যাহারা নিজেদেরই অনিষ্ট করিতেছে; নিশ্চয় আল্লাহ্ এনরূপ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে অতি বড় বিশ্বাসঘাতক, মহাপাপী।
يَسْتَخْفُونَ مِنَ النَّاسِ وَلَا يَسْتَخْفُونَ مِنَ اللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمْ إِذْ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرْضَىٰ مِنَ الْقَوْلِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطًا
বাংলা অর্থ:
১০৮। যাহাদের অবস্থা এইরূপ যে, মানুষ হইতে তো গোপন করে আর আল্লাহ্ তা‘আলাকে লজ্জা করে না অথচ আল্লাহ্ ঐ সময়ে (-ও) তাহাদের নিকটে থাকেন যখন তাহারা আল্লাহর সন্তুষ্টি-বিরুদ্ধে কথাবার্তা সম্বন্ধে অভিসন্ধি করিতে থাকে; এবং আল্লাহ্ তাহাদের কৃতকর্মসমূহকে স্বীয় বেষ্টনীতে রাখিয়াছেন।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) অর্থাৎ, ভয়কালীন নামাযে কোন ত্রুটি হইয়া থাকিলেও নামাযের পর সকল অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করিবে। সময়ের সহিত কেবল নামাযই সীমাবদ্ধ। যিকির প্রত্যেক অবস্থায়ই চলিতে পারে।
২) জৈনিক মুসলমান রাত্রিকালে আর এক মুসলমানের ঘরে ঢুকিয়া এক বস্তা আটা ও কিছু অস্ত্রশস্ত্র চুরি করিয়া, প্রথমে এক বাড়ীতে নিল, অতঃপর তথা হইতে আর এক ইহুদী বন্ধুর ঘরে নিয়া আমানত রাখিল। ঘটনা ক্রমে বস্তাটি ছিদ্রযুক্ত থাকায় পথে পথে আটা পড়িয়া চিহ্ন রাখিয়া গেল। মালিক প্রাতঃকালে চিহ্ন ধরিয়া চোরের বাড়ি উপস্থিত হইয়া মালের দাবী করিলে, সে কসম করিয়া অস্বীকার করিল।
মালিক পুনঃ চিহ্ন ধরিয়া ইহুদীর বাড়ী যাইয়া মালের দাবি করিল। ইহুদী বলিল, অমুক ব্যক্তি গতরাত্রে আমার বাড়ীতে এইগুলি আমানত রাখিয়া গিয়াছে। প্রতিবেশীরা ইহুদীর পক্ষে সাক্ষ্যও দিল। অবশেষে মোকদ্দমা হুযূরের দরবারে পেশ হইল। চোর ও তাহার সম্প্রদায়ের লোকেরা কসম করিয়া ইহুদীকে চোর প্রমানিত করিল। হুযূরও ধারণা করিলেন, মুসলমান মিথ্যা কসম করে না। সুতরাং তিনিও ইহুদীকে চোর সাব্যস্ত করিয়া তাহাকে রাগ করিতেছিলেন। এমন সময় আয়াতগুলী এই সম্বন্ধে নাযিল হয়। (বঃ কোঃ)
هَا أَنتُمْ هَـٰؤُلَاءِ جَادَلْتُمْ عَنْهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَمَن يُجَادِلُ اللَّهَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَم مَّن يَكُونُ عَلَيْهِمْ وَكِيلًا
বাংলা অর্থ:
১০৯। হাঁ ! তোমরা এইরূপ যে, পার্থিব জীবনে তো তোমরা তাহাদের পক্ষ হইতে জওয়াবদিহির কথা বলিলে। কিন্তু কিয়ামত-দিবসে আল্লাহর সম্মুখে তাহাদের পক্ষ হইয়া কে জওয়াবদিহি করিবে। কিংবা সেই ব্যক্তি কে যে তাহাদের কার্যনির্বাহক হইবে।
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
বাংলা অর্থ:
১১০। আর যে-ব্যক্তি কোন দুষ্কর্ম করে, অথবা নিজ আত্মার ক্ষতি সাধন করে অতঃপর আল্লাহর হুযূরে ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে, সে আল্লাহ্কে অতীব ক্ষমাশীল, পরম করুণাময় পাইবে।
وَمَن يَكْسِبْ إِثْمًا فَإِنَّمَا يَكْسِبُهُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা অর্থ:
১১১। আর যে-ব্যক্তি কোন পাপ কার্য করে, সে শুধু স্বীয় আত্মার উপরই ইহার প্রতিক্রিয়া পৌঁছায়; আর আল্লাহ্ মহাজ্ঞানী, হেকমতওয়ালা।
وَمَن يَكْسِبْ خَطِيئَةً أَوْ إِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهِ بَرِيئًا فَقَدِ احْتَمَلَ بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
বাংলা অর্থ:
১১২। আর যে-ব্যক্তি কোন ছোট পাপ কিংবা বড় পাপ করে, অতঃপর ইহার অপবাদ কোন নিরপরাধ ব্যক্তির প্রতি আরোপ করে, তবে সে নিজের উপর চাপাইয়া লইল জঘন্যতর অপবাদ এবং প্রকাশ্য পাপ।
وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّائِفَةٌ مِّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ ۖ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ ۚ وَأَنزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُن تَعْلَمُ ۚ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
বাংলা অর্থ:
১১৩। আর যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হইত, তবে উহাদের মধ্য হইতে একদল তো আপনাকে ভ্রান্তিতেই ফেলিবার ইচ্ছা করিয়াছিল; আর তাহারা বিভ্রান্ত করিতে পারিবে না-স্বীয় আত্মাকে ব্যতীত, এবং আপনার বিন্দুমাত্রও ক্ষতি করিতে পারিবে না আর আল্লাহ্ তা‘আলা আপনার প্রতি নাযিল করিয়াছেন কিতাব ও জ্ঞানের বিষয় এবং আপনাকে এমন সকল বিষয় শিক্ষা দিয়াছেন যাহা আপনি জানিতেন না; এবং আপনার প্রতি আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ রহিয়াছে।
সূরা-আন-নিসা বাংলা (আয়াত ৯১-১১৩) শানে নুযূল
১) অর্থাৎ, বান্দার হক্ব থাকিলে তাহা পরিশোধ করিয়া দেয়, অথবা তাহা হইতে দাবি মাফ লয়, তবেই আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট ক্ষমার যোগ্য হইবে। (বঃ কোঃ)
২) কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে তাহাদের অতিরঞ্জিত কথায় আপনার উপর কোন প্রতিক্রিয়া হয় নাই এবং ভবিষ্যতেও হইবে না। (বঃ কোঃ)
৩) অর্থাৎ, নিজেকে পাপে নিমজ্জিত করিয়া শাস্তির যোগ্য করিতেছে। (বঃ কোঃ)
সূরা-আন-নিসা বাংলা, এর আয়াত ৭৭ হতে ৯০ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
আমাদের, ফেসবুক পেইজে লাইক, শেয়ার এবং কমেন্টস করে আমাদের সাথেই থাকুন।