بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
১) আর এ ঘরের হজ্জ করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ্ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না। (সূরা আল ইমরান-৯৭)
২) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। আকরা ইবনে হারেস (রাঃ) মহানবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কি প্রতি বছর ফরজ, নাকি জীবনে একবার? তিনি বলেন; বরং (জীবনে) একবার (হজ্জ করা ফরজ)। এর বেশি যদি কেউ করে তবে তা তার জন্য অতিরিক্ত। (আবু দাউদ শরীফ-১৭২১)
৩) হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা কামনা করতাম, আমাদের উপস্থিতিতে নবী করিম (সাঃ) এর কাছে এসে কোন জ্ঞানবান বেদুঈন যদি প্রশ্ন করতো তবে কতোই না ভাল হতো। আমরা এ অবস্থায় থাকাকালে এক বেদুঈন এলো। তারপর নবী করিম (সাঃ) এর সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। বললো, হে মুহাম্মদ! আপনার বার্তাবাহক আমাদের কাছে এসে বলেছেন, আপনি নাকি বলেন যে, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? এ শুনে নবী করিম (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ।
লোকটি জিজ্ঞেস করলো, যিনি আসমানকে উঁচু করে বানিয়েছেন এবং জমিনকে বিস্তৃত করে দিয়েছেন, আর পর্বতগুলোকে গেড়ে দিয়েছেন তার শপথ! আল্লাহ্ তা’আলা কি আপনাকে রাসুলরূপে পাঠিয়েছেন? জবাবে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, হ্যাঁ।
……….লোকটি বললো, আপনার বার্তাবাহক আমাদের কাছে বলেছেন,আপনি নাকি বলেন, যার হজ্জ করার সামর্থ আছে তার ওপর বায়তুল্লাহর হজ্জ করা ফরজ? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বললো, যিনি আপনাকে রাসূল করে প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ! আল্লাহ্ কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে নবী করিম (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিযী শরীফ-৬১৯)