নামাযের সময় প্রসংগে

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু

১) অতঃপর তোমরা যখন নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহ্কে স্বরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সুরা নিসা-১০৩)

২) হযরত আবু বারযা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যুহরের নামায পড়তেন যখন সূর্য ঢলে যেত। আর আসরের নামায পড়তেন এমন সময় যে আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর ফিরে আসা পর্যন্ত সূর্য বাকি থাকত। এবং আমি মাগরিবের কথা ভুলে গিয়েছি। আর তিনি এশার নামায রাত্রের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে পারওয়া করতেন না। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি বলেন, রাতের অর্ধেক সময় পর্যন্ত। রাবী বলেন, আর তিনি এশার নামাযের পূর্বে ঘুমানো এবং পরে বাক্যালাপ অপছন্দ করতেন। এবং ফজরের নামায পড়তেন এমন সময় যে আমাদের কেউ পাশের উপবিষ্ট পরিচিত ব্যক্তিকে চিনত না। আর তিনি তাতে ৬০ হতে ১০০ আয়াত পর্যন্ত পড়তেন। (আবু দাউদ শরীফ-৩৯৮)

৩) হযরত মুহাম্মদ ইবনে আমর বলেন, আমরা জাবের (রাঃ)-কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নামায আদায়ের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। জবাবে তিনি বলেন, মহানবী (সাঃ) যুহরের নামায দ্বিপ্রহরের পরপরই পড়তেন। আর আসরের নামায সূর্য উপরে থাকতে পড়তেন। এবং মাগরিবের নামায সূর্যাস্তের পর পড়তেন। আর এশার নামায জনসমাগম অধিক হলে তাড়াতাড়ি আদায় করতেন এবং জনগনের উপস্থিতি কম হলে দেরি করতেন। এবং অন্ধকার থাকতে ফজরের নামায পড়তেন। (আবু দাউদ শরীফ-৩৯৭)