নামায আদায়ের ফযীলত

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু

১) যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। (সূরা বাকারাহ-৩)

২) এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমরা পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। (সূরা বাকারাহ-৪)

৩) তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম। (সূরা বাকারাহ-৫)

৪) নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্য তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। (সূরা বাকারাহ-২৫৭)

৫) আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ্ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা ‘আনকাবূত-৪৫)

৬) এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে,নামায প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্য রয়েছে পরকালের গৃহ। (সূরা রা’দ-২২)

৭) যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না। (সূরা ফাতির-২৯)

৮) পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ্ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দিবেন। (সূরা ফাতির-৩০)

৯) হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বিদায় হজে খুতবাকালে বলতে শুনেছি, তোমাদের প্রভু আল্লাহ্কে তোমরা ভয় কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ো। তোমাদের রমজান মাসে রোজা রাখ। তোমাদের মালের যাকাত আদায় করো। তোমাদের শাসকের আনুগত্য করো। তাহলে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে যাবে। হযরত সুলায়ম বলেছেন, আমি আবু উমামাকে বললাম, কতদিন হলো আপনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হতে এই হাদিসটি শুনেছেন? জবাবে তিনি বললেন, আমার যখন ৩০ বছর তখন আমি তাঁর কাছে এই হাদিসটি শুনেছি। (তিরমিযী শরীফ-৬১৬)