যে ঈমানের দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করা যায়

যে ঈমানের দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করা যায় এবং সে ব্যক্তি তার উপর আদিষ্ট বিষলগুলো আঁকড়ে ধরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১২) মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ নুমায়র রহ… আবূ আইয়্যূব রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। আবূ আইয়্যূব রাযি. বলেন যে, এক সফরে জনৈক বেদুইন রাসূলুল্লাহ (সা) এর সামনে এসে দাঁড়ায়। সে তার উটনীর লাগাম ধরে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! অথবা বলেছেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে এমন কিছু বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। রাবী বলেন,নবী থামলেন এবং সাহাবীদের দিকে তাকালেন। পরে তিনি বললেন, তাকে তাওফীক দেওয়া হয়েছে । অথবা বললেন তাঁকে হেদায়েত দান করা হয়েছে। রাসূরূল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কি বললে? রবী বলেন সে তার কথাটির পুনরাবৃত্তি করল। নবী বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে, (এবারে) উটনীটি ছেড়ে দাও।

১৩) মুহাম্মদ ইবনে হাতিম ও আবদুর রহমান ইবনে বিশর রহ… আবূ আইয়্যূব রাযি. থেকে এবং তিনি নবী থেকে এ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

১৪) ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া আত-তামিমী রহ. ও আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা রহ…আবূ আইয়্যূব রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি নবী এর খিদমতে হাযির হলো এবং আরয করল, আমাকে এমন এক কাজের কথা বাতলে দিন,যে কাজ করলে তা আমাকে জান্নাতের কাছে পৌঁছে দেবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। নবী বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে,তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে। সে ব্যক্তি চলে গেলে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন,তাকে যে কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে; তা দৃঢ়তার সাথে পালন করলে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

১৫) আবূ বকর ইবনে ইসহাক রহ…আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ এর কাছে এসে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা করলে আমি জান্নাতে যেতে পারব। তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কোন কিছুর শরীক করবে না, ফরয নামায কায়েম করবে, নির্ধারিত যাকাত দিবে এবং রমযানের রোযা পালন করবে। তারপর সে বলল যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, আমি এর উপর কখনো কিছু বাড়াব না এবং এর থেকে কমও করব না। লোকটি চলে গেলে নবী বললেন, কেউ কোন জান্নাতি লোক দেখে খুশি হতে চাইলে একে দেখুক।

১৬) আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব রহ…জাবির রাযি. থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নুমান ইবনে কাওকাল রাযি. নবী এর খিদমতে হাযির হলেন। তিনি আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল আমাকে অবহিত করুন, যদি আমি ফরয নামায আদায় করি, হারামকে হারাম বলে জানি, হালালকে হালাল জ্ঞান করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব? নবী বললেন, হ্যাঁ।

১৭) হাজ্জাজ ইবনে শায়ির ও কাসিম ইবনে যাকারিয়া রহ…জাবির রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, নুমান ইবনে কাওকাল রাযি. বলেছেন, হে আল্লাহর রাসূল! বাকি অংশ উপরোক্ত বর্ণনার অনুরূপ।

১৮) সালামা ইবনে শাবীব রহ…জাবির রাযি. থেকে বর্ণনা করেছেন যে, কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে আরয করলেন, আমাকে অবহিত করুন, যদি আমি ফরয নামাযসমূহ আদায় করি, রমযানের রোযা পালন করি, হালালকে হালাল জানি এবং হারামকে হারাম জানি, আর এর অতিরিক্ত কিছু না করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব? রাসূল (সা) বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এর উপর কিছুমাত্র বাড়াব না।

(সহীহ মুসলিম-১২-১৮)