সুরা-বাকারাহ্ এর বাংলা অর্থ (আয়াত ১৬৫-১৭৯)

সুরা-বাকারাহ্ এর বাংলা
আয়াত-২৮৬

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়াল
সুরা-বাকারাহ্ এর বাংলা

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِ ۗ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ

(১৬৫) আর মানুষের মধ্যে এমনও কেহ আছে, যে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকেও অংশী সাব্যস্ত করে, তাহাদিগকেও এমনভাবে ভালবাসে, যেমন ভালবাসা আল্লাহর সঙ্গে হওয়া আবশ্যক। আর যাহারা মুমেন তাহাদের ভালবাসা আল্লাহর সঙ্গেই সুদৃঢ় রহিয়াছে; আর কতই না ভাল হইত যদি এই যালেমরা যখন কোন বিপদ দেখে তখন ইহা বুঝিত যে, সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহরই, আর আল্লাহর আযাব কঠোর হইবে। সুরা-বাকারাহ্ এর বাংলা।

إِذْ تَبَرَّأَ الَّذِينَ اتُّبِعُوا مِنَ الَّذِينَ اتَّبَعُوا وَرَأَوُا الْعَذَابَ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْأَسْبَابُ

(১৬৬) যখন মাতব্বরগণ তাবে’দারগণ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক হইয়া যাইবে এবং সকলেই আযাব প্রত্যক্ষ করিবে এবং তাহাদের যে পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল তাহা বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।

وَقَالَ الَّذِينَ اتَّبَعُوا لَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّأَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّءُوا مِنَّا ۗ كَذَ‌ٰلِكَ يُرِيهِمُ اللَّهُ أَعْمَالَهُمْ حَسَرَاتٍ عَلَيْهِمْ ۖ وَمَا هُم بِخَارِجِينَ مِنَ النَّارِ

(১৬৭) আর এই তাবেদারগণ বলিবে, যদি আমরা একটু (দুনিয়ায়) ফিরিয়া যাইতে পারিতাম, তবে আমরাও তাহাদিগ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক হইতাম যেমন (আজ) তাহারা আমাদিগ হইতে পরিষ্কার পৃথক হইয়া পড়িয়াছে। আল্লাহ্ এইরূপেই তাহাদিগকে তাহাদের কুকর্মগুলি নিস্ফল আকাংখারূপে দেখাইয়া দিবেন। আর তাহাদের দোযখ হইতে বাহির হওয়া কখনও নছীবে ঘটিবে না।

শানে নুযুল:

১। এই আয়াতটিতে নিত্য পরিবর্তনশীল প্রকৃতির প্রত্যেকটি অবস্থায় আল্লাহর একত্বের মহীমা বিঘোষিত হইতেছে। তিনি মানুষের জন্য, আসমান, যমীন, চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করিয়াছেন। ফলে মানুষ দিবালোকে অন্নসংস্থান এবং রাত্রে বিশ্রাম করিয়া থাকে। আবার তাহাদের সুখ-শান্তির জন্য নানা জাতীয় বৃক্ষ-লতা, জীবজন্তু ও ফলমূল সৃষ্টি করিয়াছেন। বৃষ্টির দ্বারা শুষ্ক যমীন সজীবিত হয় এবং তদ্দারা নানা প্রকার খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। আলো বাতাস ও পানি সব কিছুই মানুষের জীবন রক্ষার সহায়ক; ইহার প্রতি লক্ষ করিয়া প্রত্যেক জ্ঞানী লোকের জ্ঞান-চক্ষু উন্মিলিত হওয়া উচিত। (বঃকোঃ)
২। এ সমস্ত বিষয় এইরূপে চিন্তা করিলে কাল্পনিক দেব-দেবীর অক্ষমতা এবং আল্লাহর শক্তি ও মহীমা তাহাদের হৃদয়ে বিকশিত হইত। ফলে একত্ববাদে আস্থা স্থাপন ও ঈমান আনয়ন করিত। (বঃকোঃ)

يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

(১৬৮) হে মানব! যাহা যমিনে রহিয়াছে তাহা হইতে হালাল পবিত্র জিনিসগুলি খাও, আর শয়তানের অনুসরণ করিও না। বাস্তবিক সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

إِنَّمَا يَأْمُرُكُم بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاءِ وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

(১৬৯) সে তো তোমাদিগকে উহাই শিক্ষা দিবে যাহা মন্দ ও অশ্নীল। আর আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন উক্তি কর যাহার কোন প্রমাই তোমাদের নিকট নাই।

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا ۗ أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ

(১৭০) আর যখন কেই তাহাদিগকে বলে, আল্লাহর প্রেরিত নির্দেশ অনুযায়ী চল; তখন তাহারা বলে, বরং আমরা উহাতেই (ঐ পথেই) চলিব যাহাতে আমাদের পূর্বপুরুষগণকে পাইয়াছি, যদিও তাহাদের পূর্বপুরুষরা কোন জ্ঞানই রাখিত না এবং হেদায়েত প্রাপ্তও ছিল না (তবুও?)।

وَمَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا كَمَثَلِ الَّذِي يَنْعِقُ بِمَا لَا يَسْمَعُ إِلَّا دُعَاءً وَنِدَاءً ۚ صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَعْقِلُونَ

(১৭১) আর এই কাফেরদের অবস্থা সেই (জন্তুর) কেহ এইরূপ জন্তুর পিছনে চিৎকার করিতেছে, যে শুধু আহ্বান ও চিৎকার ব্যতীত আর কিছুই শুনিতে পায় না। এই কাফেররা বধির,বোবা ও অন্ধ; সুতরাং কিছুই বুঝেনা।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ

(১৭২) হে মুমিনগণ! যে পবিত্র বস্তু আমি তোমাদিগকে দিয়াছি ইহা হইতে খাও, আর আল্লাহর শোকরগোযারী কর যদি তোমরা খাছ তাঁহারই সঙ্গে গোলামীর সম্পর্ক রাখিয়া থাক।

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ ۖ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

(১৭৩) আল্লাহ্ তো তোমাদের জন্য হারাম করিয়াছেন মুধু মৃত জীব, রক্ত ও শূকরের মাংস। আর এমন জীব যাহা গায়রুল্লাহর নামে উৎসর্গ করা হইয়াছে। অবশ্য যে ব্যক্তি অনোন্যপায় হইয়া পড়ে, ভোগকামী ও সীমা অতিক্রমকারী না হয়, তবে তাহার কোন পাপ হইবে না। বাস্তবিকই আল্লাহ্ বড় ক্ষমাশীল, করুণাময়।

শানে নুযুল:

১। কোন কোন মুশরিক প্রস্তর মূর্তির নামে গৃহ পালিত চতুষ্পদ জন্তু ছাড়িয়া দিত এবং উহার সম্মানার্থে উহা হইতে কোন প্রকার স্বার্থ ভোগ করা নিষিদ্ধ বলিয়া মনে করিত। এবং তাহাদের এই অপকর্মকে আল্লাহ্র আদেশ, আল্লাহ্র সন্তোষ লাভের কারণ, এবং মূর্তির সুপারিশের মধ্যবস্থায় আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের উপায় মনে করিত। এই সম্বন্ধে সম্বোধন করিয়া আল্লাহ্ বলিতেছেন। (বঃকোঃ)
২। শরীয়ত অনুসারে যে প্রানী যবাহ্ ব্যতীত মরিয়া গেলে হারাম হইয়া যায়। (বঃকোঃ)
৩। জীবদেহের প্রবাহমান রক্তই হারাম। এতদভিন্ন জমাট রক্ত, যেমন তিল্লী ও কলিজা হারাম নহে। (বঃকোঃ)

إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا ۙ أُولَـٰئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

(১৭৪) নিঃসন্দেহ, যাহারা আল্লাহর অবতারিত কিতাব গোপন করে এবং তৎপরিবর্তে নগণ্য সম্পদ আদায় করে, তাহারা আর কিছুই নহে শুধু নিজেদের পেটে অগ্নি পুরিতেছে, আর আল্লাহ্ ক্বিয়ামতের দিন তাহাদের সঙ্গে কথাও বলিবেন না এবং আর তাহাদের যন্ত্রণাময় শাস্তি হইবে।

أُولَـٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَىٰ وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ ۚ فَمَا أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ

(১৭৫) ইহারা এমন লোক যাহারা (দুনিয়াতে) হেদায়েত ত্যাগ করিয়া গোমরাহী আর (আখেরাতে) ক্ষমাপ্রাপ্তি ছাড়িয়া আযাব গ্রহন করিয়াছে; সুতরাং তাহারা দোযখের জন্য কত সাহসী।

ذَ‌ٰلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ نَزَّلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِي الْكِتَابِ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ

(১৭৬) এই শাস্তি এইজন্য যে, আল্লাহ্ ঠিক ঠিকভাবেই কিতাব নাযিল করিয়াছেন; আর যাহারা (এই) কিতাব সম্বন্ধে বিপথ অবলম্বন করে- ইহা সুবিদিত যে, তাহারা সুদূর প্রসারী বিরোধিতায় (লিপ্ত) হইবে।

শানে নুযুল:

১। শুকরের মাংস তথা যাবতীয় অংশই হারাম ও অপবিত্র।
মাস্আলাঃ যে জীব আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহারও নামে এই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় যে, তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হইলেন এবং আমার মনষ্কাম পূর্ণ করিয়া দিবেন; অধুনা বহু অজ্ঞ লোক এই উদ্দেশ্যে মোরগ, ষাঁড় ইত্যাদি উৎসর্গ করিয়া থাকে। এইরূপ জন্তু আল্লাহর নাম লইয়া যবাহ্, করিলেও হালাল হইবে না। হ্যাঁ, উক্ত উৎসর্গের পর ইহা হইতে তওবা করিলে ঐ জন্তু হালাল হইবে। (বঃকোঃ)
২। কেবলা পরিবর্তনের সময় ইহুদী ও নাছারারা কেবল ইহা লইয়াই সমালোচনা করিত, কাজেই এখানে আবার নির্দিষ্ট দিকের কথা উল্লেখ করিয়া সতর্ক করিয়া দেওয়া হইল যে, কেবল ইহাই পূণ্য নহে। ইহা ছাড়া আরও বহু নেক কাজ রহিয়াছে, সে দিকে মনোনিবেশ কর। (বঃকোঃ)

لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَـٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ

(১৭৭) সকল পুণ্য ইহাতেই নহে যে, তোমরা স্বীয় মুখকে পূর্বদিকে কর কিংবা পশ্চিম দিকে, বরং পুণ্য তো ইহা যে কোন ব্যক্তি ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি, ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি, ফেরেশ্তাদের প্রতি, কিতাব এবং নবীগণের প্রতি। আর মাল প্রদান করে আল্লাহর মহাব্বতে আত্মীয়-স্বজনকে এবং এতীমদিগকে এবং মিস্কিনদিগকে এবং (রিক্তহস্ত) মুসাফিরদিগকে; আর ভিক্ষুকদিগকে এবং দাসত্ব মোচনে। আর নামাযের পাবন্দী করে এবং যাকাতও আদায় করে; আর যাহারা আপন প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী হয়, যখন প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে; আর যাহারা ধীরস্থির থাকে অভাব-অভিযোগে, অসুখে-বিসুখে এবং ধর্ম-যুদ্ধে; ইহারাই সত্যিকারের মানুষ এবং ইহারাই (সত্যিকারের) খোদাভীরু।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى ۖ الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْأُنثَىٰ بِالْأُنثَىٰ ۚ فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ۗ ذَ‌ٰلِكَ تَخْفِيفٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ ۗ فَمَنِ اعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَ‌ٰلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ

(১৭৮) হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপর কেছাছ ফরয করা হইয়াছে নিহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে; আযাদ ব্যক্তির পরিবর্তে আযাদ ব্যক্তি, গোলাস-সের পরিবর্তে গোলাম এবং নারীর পরিবর্তে নারী। পরন্ত যাহাকে স্বীয় প্রতিপক্ষের পক্ষ হইতে কিছু মাফ করা হয়, তবে (বাকিটুকু ) যেন ন্যায়সঙ্গতভাবে তাগাদা করে, এবং (হত্যাকারী যেন) সদ্ভাবে তাহার নিকট পৌঁছাইয়া দেয়; ইহা তোমাদের প্রভুর পক্ষ হইতে সহজ ব্যবস্থা ও অনুগ্রহ; অতঃপর যে ব্যক্তি ইহার পর সীমা লঙ্ঘন করে, তবে তাহার জন্য কঠিন যন্ত্রণাময় শাস্তি।

وَلَكُمْ فِي الْقِصَاصِ حَيَاةٌ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

(১৭৯) আর হে জ্ঞানিগণ! এই কেছাছে (-র আইনে) তোমাদের জন্য প্রাণ রক্ষা (রমহা ব্যবস্থা) রহিয়াছে। আশা করি, তোমরা (এইরূপ শান্তিপূর্ণ আইনের বিরোধিতা হইতে) বিরত থাকিবে।

শানে নুযুল:

১। ফঃ প্রাগ-ইসলাম যুগে মূর্খ আরবদের মধ্যে প্রথা ছিল যে, হত্যাকারী গোলামের পরিবর্তে তাহার প্রভুকে এবং হত্যাকারীনীর পরিবর্তে সেই বংশের কোন পুরুষকে খুনের বদলা খুন করা হইত। ইসলাম আবির্ভূত হওয়ার পর খুনের বদলা সম্বন্ধে এই নির্দেশ আসিল। (মুঃকোঃ)
২। মাসআলাঃ সেচ্ছায় লৌহের বা অন্য কোন প্রকার কর্তনকারী অস্ত্র দ্বারা কাহাকেও হত্যা করিলে উহার শাস্তি কেছাছ।
মাসআলাঃ এরূপ হত্যার দায়ে আযাদের বিনিময়ে যেমন আযাদকে হত্যা করা হয়, তদ্রুপ গোলামের বিনিময়েও আযাদকে হত্যা করা হইবে এবং নারীর বিনিময়ে যেমন নারীকে হত্যা করা হয়, তদ্রুপ নারীর বিনিময়ে পুরুষকে হত্যা করা হইবে।

সূরা ফাতিহা পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ০১ হতে ৪৮ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৪৯ হতে ৭১ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৭২ হতে ৮৯ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৯০ হতে ১০২ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১০৩ হতে ১১৩ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১১৪ হতে ১২৬ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১২৭ হতে ১৩৬ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৩৭ হতে ১৪৮ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৪৯ হতে ১৬৪ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-