সূরা ইব্রাহিম বাংলা অনুবাদ
সর্বমোট আয়াত-৫২
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু
الر ۚ كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَىٰ صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
বাংলা অর্থ:
১। আলীফ-লাম-রা । ইহা একটি কিতাব যাহা আমি আপনার প্রতি নাযিল করিয়াছি, যেন আপনি বাহির করিয়া আনেন সমস্ত মানুষকে তাহাদের রব্বের আদেশে অন্ধকার হইতে আলোর দিকে, অর্থাৎ পরাক্রান্ত, প্রশংসাভাজন আল্লাহ তা‘আলার পথের দিকে ।
اللَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَوَيْلٌ لِّلْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ شَدِيدٍ
বাংলা অর্থ:
২। যিনি এমন আল্লাহ তাঁহারই জন্য রহিয়াছে যাহাকিছু আসমানসমূহে আছে এবং যাহাকিছু যমীনে আছে; আর সেই কাফেরদের বড়ই দুর্গতি অর্থাৎ বড় কঠিন আযাব হইবে।
الَّذِينَ يَسْتَحِبُّونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا ۚ أُولَـٰئِكَ فِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ
বাংলা অর্থ:
৩। যাহারা প্রাধান্য দেয় পার্থিব জীবনকে পরকালের উপর এবং আল্লাহ তাআলা পথ হইতে বিরত রাখে এবং উহাতে বক্রতা অনুসন্ধান করিতে থাকে; ইহারাই সুদূর বিপথে রহিয়াছে।
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
বাংলা অর্থ:
৪। আর আমি সমস্ত পয়গম্বরকে তাহাদেরই কাওমের ভাষায় পয়গম্বর করিয়া পাঠাইয়াছি, যেন তাহাদের নিকট (আল্লাহর বিধানসমূহ) বর্ণনা করিতে পারেন; অনন্তর আল্লাহ তা‘আলা যাহাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথ দেখান; আর তিনি প্রভাবশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُم بِأَيَّامِ اللَّهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ
বাংলা অর্থ:
৫। আর আমি মূসাকে নিজ নিদর্শনসমূহ দিয়া প্রেরণ করিয়াছি – তুমি নিজ কাওমকে অন্ধকার হইতে আলোর দিকে আনয়ন কর, এবং তাহাদিগকে আল্লাহর নেয়ামত ও আযাব সংক্রান্ত ব্যবহার সমূহ স্মরণ করাইয়া দাও; নি:সন্দেহে উহাতে উপদেশ সমূহ রহিয়াছে; প্রত্যেক ধৈর্যশীল, শোকরগুযার লোকদের জন্য ।
وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ أَنجَاكُم مِّنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ وَيُذَبِّحُونَ أَبْنَاءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءَكُمْ ۚ وَفِي ذَٰلِكُم بَلَاءٌ مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌ
বাংলা অর্থ:
৬। আর সেই সময়কে স্মরণ করুন, যখন মূসা নিজ কাওমকে বলিলেন, তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহকে স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদিকে ফেরআঊনীদের (কবল) হইতে নাজাত দিলেন, যাহারা তোমাদিগকে কঠোর শাস্তি প্রদান করিত এবং তোমাদের পুত্রগণকে হত্যা করিত এবং তোমাদের নারীদিগকে জীবিত ছাড়িয়া দিত আর উহাতে তোমাদের রব্বের তরফ হইতে এক মহা পরীক্ষা ছিল।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। সারকথা এই যে, যদিও পৃথিবীর সকলেই আপনার উম্মত; কিন্তু আপনার ক্বওম আরববাসী কাজেই এই কোরআন আরবী ভাষায় নাযিল করা হইয়াছে। পক্ষান্তরে অনারবী ভাষায় নাযিল হইলে আরাসীরা বলিত, ইহার আয়াতসমূহ খুলিয়া কেন বলা হইল না? আমরা আরবী আর কিতাব অনারাবী ! ইহা একেবারেই অসঙ্গত। (ব: কো:)
২। কেননা, নিয়ামতের স্মরণে কৃতজ্ঞতা আসে। আর আযাব স্মরণে ভবিষ্যত বিপদসমূহে ধৈর্য আসে। ইহাই নি‘আমত ও আযাব স্মরণ করানোর স্বার্থকতা। (ব: কো:)
৩। অর্থাৎ কন্যা-সন্তানদের জীবিত ছাড়িয়া দিত, যেন তাহারা বয়:প্রাপ্ত হইয়া নারীত্ব লাভ করে, এবং তাহাদের দ্বারা বিভিন্ন কাজ আদায় করিতে পারে । অতএব, ইহাও এক প্রকারের আযাব ছিল । (ব: কো:)
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ
বাংলা অর্থ:
৭। আর তোমরা সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন তোমাদের রব্ব তোমাদিগকে জানাইয়া দিলেন যে, যদি তোমরা শোকর কর, তোমাদিগকে অধিক নেয়ামত প্রদান করিব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, তবে আমার আযাব বড় কঠিন।
وَقَالَ مُوسَىٰ إِن تَكْفُرُوا أَنتُمْ وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا فَإِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ حَمِيدٌ
বাংলা অর্থ:
৮। আর মূসা বলিলেন, যদি তোমরা এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষ সকলে মিলিয়া ও নাশোক্রী করিতে থাক, তবে আল্লাহ্ সম্পূর্ণরূপে বে-নিয়ায, প্রশংসাভাজন।
أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَبَأُ الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ ۛ وَالَّذِينَ مِن بَعْدِهِمْ ۛ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ ۚ جَاءَتْهُمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَرَدُّوا أَيْدِيَهُمْ فِي أَفْوَاهِهِمْ وَقَالُوا إِنَّا كَفَرْنَا بِمَا أُرْسِلْتُم بِهِ وَإِنَّا لَفِي شَكٍّ مِّمَّا تَدْعُونَنَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ
বাংলা অর্থ:
৯। তোমাদের নিকট কি সেই সমস্ত লোকদের সংবাদ পৌছে নাই যাহারা তোমাদের পূর্বে গত হইয়াছে? অর্থাৎ নূহ সম্প্রদায় এবং আ‘দ জাতি ও সামূদ জাতি, এবং তাহাদের পর যাহারা ছিল; যাহাদের কে আল্লাহ্ ভিন্ন কেহই জানে না তাহাদের নিকট তাহাদের রাসূলগণ নিদর্শনাবলী সহ আসিয়াছিলেন, অনন্তর তাহারা রাসূলগণের মুখে হাত চাপা দিল এবং বলিতে লাগিল, যে-আদেশ দিয়া তোমাদিগকে পাঠান হইয়াছে, আমরা তাহা অস্বীকার করি এবং তোমরা যে বিষয়ের প্রতি আমাদিগকে ডাকিতেছ, আমরা তৎসম্বন্ধে ঘোরতর সন্দেহে দোদুল্যমান অবস্থায় আছি।
قَالَتْ رُسُلُهُمْ أَفِي اللَّهِ شَكٌّ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ يَدْعُوكُمْ لِيَغْفِرَ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرَكُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۚ قَالُوا إِنْ أَنتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا تُرِيدُونَ أَن تَصُدُّونَا عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُنَا فَأْتُونَا بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
বাংলা অর্থ:
১০। তাহাদের রাসূলগণ বলিলেন, আল্লাহ্ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে যিনি আসমানসমূহ এবং ভূমন্ডলের সৃষ্টিকর্তা তিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিতেছেন, যেন তোমাদের গুনাহগুলি মাফ করিয়া দেন, এবং এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদিগকে জীবিত রাখেন তাহারা বলিল, তোমরা তো শুধু মানুষ, যেমন আমরা; তোমরা ইহা চাহিতেছ যে, আমাদের পূর্ব-পুরুষরা যাহার এবাদত করিত তাহা হইতে আমাদিগকে নিবৃত্ত রাখ, অতএব, আমাদিগকে কোন স্পষ্ট মু‘জেযা দেখাও।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। তোমরা তোমাদের মনগড়া তাওহীদের প্রতি আমাদিগকে আহবান করিতেছ। প্রকৃতপক্ষে তোমরা এমন আদেশ পাও নাই এবং এই উদ্দেশ্যে প্রেরিতও হও নাই। (ব:কো:)
২। অর্থাৎ তাঁহার এই সমস্ত বস্তুকে সৃষ্টি করাই এই কথার প্রমাণ যে, তিনি এক। এইরূপ প্রমাণ বিদ্যামান থাকা সত্ত্বেও সন্দেহ করা বড় আশ্চর্যের কথা নবী আরও বলিলেন, তোমরা যে তাওহীদের প্রতি আমাদের আহবান করাকে স্বতন্ত্রভাবে আমাদের কাজ বলিয়া মনে করিতেছ ইহাও সম্পূর্ণ ভুল। একত্ববাদ বিষয়টি এমন সত্য যে, যদি কেহ খোদার আদেশ ছাড়া নিজের মতে উহার প্রতি আহবান করে, তবুও সঙ্গত ও উত্তম কাজই হইবে; পক্ষান্তরে আমরা তো আল্লাহর আদেশ পাইয়াই আহবান করিতেছি। সুতরাং তিনিই তোমাদিগকে আহবান করিতেছেন।(ব:কো:)
قَالَتْ لَهُمْ رُسُلُهُمْ إِن نَّحْنُ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ وَلَـٰكِنَّ اللَّهَ يَمُنُّ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ ۖ وَمَا كَانَ لَنَا أَن نَّأْتِيَكُم بِسُلْطَانٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
বাংলা অর্থ:
১১। তাহাদের রাসূলগণ তাহাদিগকে বলিলেন, আমরা তোমাদের মতই মানুষ, কিন্তু আল্লাহ্ নিজ বান্দাগণের মধ্য হইতে যাহার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করিয়া থাকেন; আর এই বিষয় আমাদের আয়ত্তে নহে যে, আমরা তোমাদিগকে কোন মু‘জেযা দেখাইতে পারি আল্লাহর আদেশ ব্যতীত; এবং আল্লাহরই উপর সমস্ত মু‘মেনদের ভরসা করা উচিত।
وَمَا لَنَا أَلَّا نَتَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ وَقَدْ هَدَانَا سُبُلَنَا ۚ وَلَنَصْبِرَنَّ عَلَىٰ مَا آذَيْتُمُونَا ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ
বাংলা অর্থ:
১২। আর আল্লাহর উপর আমাদের ভরসা না করার কি কারণ হইতে পারে? অথচ তিনি আমাদিগকে আামদের পথ দেখাইয়াছেন; এবং তোমরা আমাদের কে যে সব কষ্ট দিয়াছ, আমরা তাহাতে ছবর করিব; আর আল্লাহরই উপর ভরসাকারীদের ভরসা করা উচিত ।
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِرُسُلِهِمْ لَنُخْرِجَنَّكُم مِّنْ أَرْضِنَا أَوْ لَتَعُودُنَّ فِي مِلَّتِنَا ۖ فَأَوْحَىٰ إِلَيْهِمْ رَبُّهُمْ لَنُهْلِكَنَّ الظَّالِمِينَ
বাংলা অর্থ:
১৩। আর সেই কাফেরেরা নিজেদের রাসূলদিগকে বলিল, আমরা তোমাদিগকে আমাদের দেশ হইতে বাহির করিয়া দিব, নতুবা ইহা হউক যে, তোমরা আামদের ধর্মে ফিরিয়া আস; তখন সেই রাসূলগণের প্রতি তাহাদের রব্ব ওহী প্রেরণ করিলেন যে, আমি সেই যালেমদিগকে অবশ্যই ধ্বংস করিব।
وَلَنُسْكِنَنَّكُمُ الْأَرْضَ مِن بَعْدِهِمْ ۚ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَافَ مَقَامِي وَخَافَ وَعِيدِ
বাংলা অর্থ:
১৪। এবং এই দেশে তোমাদিগকে আবাদ করিয়া দিব তাহাদের (ধ্বংস করার) পর ইহা উহাদের প্রত্যেকের জন্য, যাহারা আমার সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়ার ভয় রাখে এবং আমার শাস্তিকে ভয় করে।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। মানুষ কখনও নবী হইতে পারে না। যখন তোমরা নবী নও, তখন তাওহীদ সম্বন্ধে তোমাদের উক্তি ও আল্লাহর পক্ষ হইতে নহে। নিজেদের মনগড়া মতে আমাদিগকে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের উপাসিত দেব দেবীর পূজা হইতে নিবৃত্ত করিতে চাহিতেছ? (ব:কো:)
২। অর্থাৎ আমরা তোমাদেরই মত মানুষ, কিন্তু মানুষ হওয়া এবং নবী হওয়ার মধ্যে কোন বিরোধ নাই। নবী হওয়া আল্লাহর একটি বিশেষ অনুগ্রহ এবং আল্লাহর এই অধিকার আছে যে, তিনি স্বীয় বান্দাগণের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ দ্বারা নবী করিয়া থাকেন। (ব:কো:)
৩। অর্থাৎ নুবুওয়াতের দাবি সপ্রমাণিত করার জন্য যেই দলীলই পেশ করা হয়, তাহাই মু’জেযাহ নামে অভিহিত। এইরূপ অনেক মু‘জেযাহ তোমাদিগকে দেখান হইয়াছে। কাজেই তোমরা যে বিশেষ মু‘জেযাহ চাহিতেছ তাহা খোদার আদেশ ব্যতীত প্রকাশ করা আমাদের আয়ত্তে নহে। (ব:কো:)
وَاسْتَفْتَحُوا وَخَابَ كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ
বাংলা অর্থ:
১৫। এবং কাফেররা মীমাংসা চাহিতে লাগিল, আর যত অবাধ্য হঠকারী ছিল, সকলে (উহাতে ) অকৃতকার্য হইয়া গেল।
مِّن وَرَائِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَىٰ مِن مَّاءٍ صَدِيدٍ
বাংলা অর্থ:
১৬। তাহার সম্মুখে দোযখ রহিয়াছে, এবং তাহাকে পান করিবার জন্য পানি দেওয়া হইবে- যাহা পুঁজ ও রক্ত (-সদৃশ) হইবে ।
يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِن كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ ۖ وَمِن وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ
বাংলা অর্থ:
১৭। যাহাকে ঢোক ঢোক করিয়া পান করিবে এবং সহজে গলাধ: করণ করিতে পারিবে না এবং সকল দিক হইতে তাহার নিকট মৃত্যু আসিয়া উপস্থিত হইবে, অথচ কিছুতেই সে মরিবে না। এবং তাহাকে আরও কঠোর আযাবের সম্মুখীন হইতে হইবে।
مَّثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ ۖ أَعْمَالُهُمْ كَرَمَادٍ اشْتَدَّتْ بِهِ الرِّيحُ فِي يَوْمٍ عَاصِفٍ ۖ لَّا يَقْدِرُونَ مِمَّا كَسَبُوا عَلَىٰ شَيْءٍ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ
বাংলা অর্থ:
১৮। যাহারা নিজ প্রতিপালকের সহিত কুফর করে, তাহাদের কৃত (সৎ) কর্মের অবস্থা এইরূপ – যেমন কিছু ছাই যাহাকে ভীষণ ঝড়ের দিনে বায়ু প্রবল বেগে উড়াইয়া লইয়া যায়; তাহারা যাহা আমল করিয়াছিল উহার কিয়দংশও প্রাপ্ত ইহাই সুদূর গোমরাহী।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ ۚ إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ
বাংলা অর্থ:
১৯। তুমি কি ইহা অবগত নও যে, আল্লাহ তাআলা আসমানসমূহ কে এবং যমীনকে সঠিকভাবে সৃষ্টি করিয়াছেন; যদি তিনি ইচ্ছা করেন, তবে তোমাদের সকলকে ধ্বংস করিয়া দিতে পারেন এবং অন্য এক নূতন মখলুক আনয়ন করিতে পারেন।
وَمَا ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ
বাংলা অর্থ:
২০। এবং ইহা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষে কিছুই কঠিন নহে।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। অর্থাৎ পয়গম্বরগণ যখন কাফেরদিগকে শুনিয়েছিলেন যে, তোমরা প্রমাণাদির মীমংসা তো মানিলেই না। এখন আযাবের দ্বারা মীমাংসা হইবে। (ব: কো:)
২। বরং এমনি তিলে তিলে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করিতে থাকিবে ।(ব: কো:)
৩। এইরূপ সম্ভাবনাই হইতে পারে না যে, শাস্তি ভুগিতে ভুগিতে অভ্যস্ত হইয়া পড়িবে। তখন আর উহা আযাব বলিয়াই বোধ হইবে না; বরং অবস্থা এমন হইবে যে, যখনই তাহাদের চামড়া গলিয়া যাইবে, তখনই অপর নূতন চামড়া পরিবর্তন করিয়া দেওয়া হইবে। (ব: কো:)
৪। অর্থাৎ ফল এবং উপকার জাতীয় কিছুই পাইবে না। বরং কোনটি মন্দ এবং অনিষ্টকররূপে প্রকাশ পাইবে। যেমন, মূতি-পূজা । আর কোনটি হিতকর নয় বলিয়া প্রকাশ পাইবে। যেমন, গোলাম আযাদ করা এবং আত্মীয়স্বজনের প্রতি সদ্ব্যবহার কর । (ব: কো:)
وَبَرَزُوا لِلَّهِ جَمِيعًا فَقَالَ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنتُم مُّغْنُونَ عَنَّا مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِن شَيْءٍ ۚ قَالُوا لَوْ هَدَانَا اللَّهُ لَهَدَيْنَاكُمْ ۖ سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَجَزِعْنَا أَمْ صَبَرْنَا مَا لَنَا مِن مَّحِيصٍ
বাংলা অর্থ:
২১। আর তাহারা সকলে আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হইবে, অত:পর নিম্নস্তরের লোকেরা উচ্চস্তরের লোকদিগকে বলিবে, আমরা তো তোমাদেরই তাবেদার ছিলাম, তবে কি তোমরা আমাদিগক হইতে আল্লাহর আযাবের কিছু অংশ অপসারিত করিতে পার? তাহারা বলিবে, যদি আল্লাহ্ আমাদিগকে পথ বলিয়া দিতেন, তবে আমরাও তোমাদিগকে (ঐ) পথ বলিয়া দিতাম; আমাদের সকলের পক্ষেই উভয় অবস্থা সমান – আমরা অস্থিরই হই কিংবা ধৈর্যই ধরি- আমাদের বাঁচিবার কো উপায় নাই।
وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الْأَمْرُ إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدتُّكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ ۖ وَمَا كَانَ لِيَ عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ إِلَّا أَن دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي ۖ فَلَا تَلُومُونِي وَلُومُوا أَنفُسَكُم ۖ مَّا أَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَمَا أَنتُم بِمُصْرِخِيَّ ۖ إِنِّي كَفَرْتُ بِمَا أَشْرَكْتُمُونِ مِن قَبْلُ ۗ إِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
বাংলা অর্থ:
২২। আর যখন সমস্ত মোকদ্দমা মীমাংসা হইয়া যাইবে, তখন শয়তান বলিবে, আল্লাহ্ তোমাদের সহিত সত্য ওয়াদা করিয়াছিলেন এবং আমিও কিছু ওয়াদা করিয়াছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদের সহিত ওয়াদা খেলাফ করিয়াছিলাম; আর তোমাদের উপর আমার কোন আধিপত্যও ছিল না শুধু এই টুকু যে, আমি তোমাদিগকে ডাকিয়াছিলাম, তখন তোমরা দোষ নিজেদের উপরই আরোপ কর; আমি তোমাদের না সাহায্যকারি হইতে পারি আর না তোমরা আমার সহায় হইতে পার; আমি নিজেও তোমাদের এই কাজে অসন্তুষ্ট যে, তোমরা ইতপূর্বে আমাকে (আল্লাহর) অংশী সাব্যস্ত করিতে; নিশ্চয়, যালেমদের জন্য যন্ত্রণাময় শাস্তি রহিয়াছে।
وَأُدْخِلَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ ۖ تَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ
বাংলা অর্থ:
২৩। আর যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং নেক কাজ করিয়াছে তাহাদিগকে এমন উদ্যানসমূহে দাখিল করান হইবে, যাহার নহরসমূহ বহিতে থাকিবে, তাহারা উহাতে নিজ পরওয়ারদেগারের আদেশে অনন্তকালা থাকিবে; তথায় তাহাদিগকে অভ্যর্থনা করা হইবে আসসালামু আলাইকুম শব্দ দ্বারা।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। রেওয়ায়েতে আছে পাঁচশত বৎসর বলিয়া আযাবের কঠোরতায় ফরিয়াদ করিয়া বিফল হইয়া পরবর্তী পাঁচশত বৎসর ধৈর্য সহকারে আযাব ভোগ করিবে । কিন্তু তাহাতেও বিন্দুমাত্র লাঘবতা না দেখিয়া বলিবে হায় আমাদের বাঁচিবার উপায় নাই। (বা: কো:)
২। বলপূর্বক কাহাকেও পথভ্রষ্ট করার ক্ষমতা শয়তানের নাই । তবে অন্য উপায়ে মানুষের ক্ষতি করিবার ক্ষমতা তাহার আছে। কিন্তু ফেরেশতার হেফাযতের কারণে তাহাও সকল সময় পারে না। (বা: কো:)
৩। অর্থাৎ মূর্তি পূজা ইত্যাদির ব্যাপারে তোমরা আমার এমন আনুগত্য করিতে যাহা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর প্রাপ্য। সুতরাং মূর্তি সমূহকে আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করার দরুন প্রকারান্তরে তোমরা আমাকেই আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করিতে। কিন্তু আমি ইহাতে সন্তুষ্ট ছিলাম না। অতএব , তোমাদের সহিত আমার কোন সম্পর্ক নাই। (বা: কো:)
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ
বাংলা অর্থ:
২৪। আপনার কি জানা নাই যে, আল্লাহ্ তা‘আলা কালেমায়ে তাইয়্যেবার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করিয়াছেন – উহা একটি পবিত্র (খর্জুর) বৃক্ষের ন্যায়, যাহার শিকড় খুব দৃঢ় সংবদ্ধ এবং উহার শাখাগুলি উচ্চে যাইতেছে।
تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا ۗ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
বাংলা অর্থ:
২৫। উহা আল্লাহর আদেশে প্রত্যেক মৌসুমে নিজ ফল দান করে; এবং আল্লাহ্ তা’আলা – দৃষ্টান্ত গুলি মানুষের জন্য এই উদ্দেশ্যে বর্ণনা করিয়া থাকেন, যেন তাহারা খুব বুঝিয়া লয় ।
وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ
বাংলা অর্থ:
২৬। আর অপবিত্র কালেমার দৃষ্টান্ত এইরূপ, যেমন একটি নিকৃষ্ট বৃক্ষ – যাহা যমীনের উপর হইতে উপড়াইয়া লওয়া যায়, (যমীনে) উহার কোন স্থায়িত্ব নাই।
يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۖ وَيُضِلُّ اللَّهُ الظَّالِمِينَ ۚ وَيَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ
বাংলা অর্থ:
২৭। আল্লাহ্তা‘আলা যাহা চাহেন (তাহাই) করেন।
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَتَ اللَّهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ
বাংলা অর্থ:
২৮। আপনি কি তাহাদিগকে দেখেন নাই – যাহারা আল্লাহ্ তা‘আলার নেয়ামতের পরিবর্তে কুফর করিয়াছে এবং যাহারা স্বীয় সম্প্রদায়কে উপনীত করিয়াছে ধ্বংসের গৃহে।
جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا ۖ وَبِئْسَ الْقَرَارُ
বাংলা অর্থ:
২৯। অর্থাৎ জাহান্নামে, তাহারা উহাতে প্রবেশ করিবে; এবং উহা অতি নিকৃষ্ট বাসস্থান
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। অর্থাৎ খুব ফলবান হয়। কোন মৌসুমেই নষ্ট হয় না। কালেমায়ে তাওহীদও ঠিক এইরূপই । ইহার মূল অর্থাৎ বিশ্বাস মু‘মিনের অন্তরে বৃদ্ধমূল রহিয়াছে। নেক আমল সমূহ উহার শাখা । (ব: কো:)
২। অর্থাৎ শিরক ও কুফরীর অপবিত্র কালেমার দৃষ্টান্ত যেমন একটি নিকৃষ্ট বৃক্ষ অর্থাৎ দুর্গন্ধ মাকাল ফলের গাছ। মৃত্তিকা হইতে উপড়াইয়া ফেলার অর্থ এই যে, উহার শিকর মাটির অনেক নীচে নহে। ঠিক এই অবস্থা কুফরী কালেমার। কাফেরদের অন্তরে যাহার শিকড়। কিন্তু সত্যের প্রতি মুমিনদের দৃঢ় বিশ্বাসের তুলনায় উহা এত দুর্বল যে, যেন উহার শিকড়ই নাই। (ব: কো:)
৩। অর্থাৎ পৃথিবীতে শয়তানের বিভ্রান্তিকর প্ররোচনা হইতে মুক্ত রাখেন। ফলে মৃত্যুকালে তাহারা ঈমানের উপর সুদুঢ় থাকে এবং কবরে তাহারা মুনকার নকীবের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিবে। (ব: কো:)
وَجَعَلُوا لِلَّهِ أَندَادًا لِّيُضِلُّوا عَن سَبِيلِهِ ۗ قُلْ تَمَتَّعُوا فَإِنَّ مَصِيرَكُمْ إِلَى النَّارِ
বাংলা অর্থ:
৩০। এবং তাহারা আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করিয়াছে, তাঁহার দ্বীন হইতে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে; আপনি বলিয়া দিন, কিছুদিন উপভোগ করিয়া লও, কেননা, তোমাদিগকে দোযখে যাইতে হইবে ।
قُل لِّعِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا يُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُنفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خِلَالٌ
বাংলা অর্থ:
৩১। বলিয়া দিন আমার খাঁটি ঈমানদার বান্দাদিগকে, যেন তাহারা নামাযের পাবন্দী করে এবং আমি তাহাদিগকে যাহা কিছু দিয়াছি উহা হইতে গোপনে ও প্রাকাশ্যে ব্যয় কর, সেই দিন আসিবার পূর্বে যেদিন না কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকিবে আর না কোন বন্ধুত্ব ।
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ ۖ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْفُلْكَ لِتَجْرِيَ فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ ۖ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْأَنْهَارَ
বাংলা অর্থ:
৩২। আল্লাহ্ এমন যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন এবং আসমান হইতে বর্ষণ করিয়াছেন পানি, অত:পর সেই পানি দ্বারা ফলসমূহ হইতে তোমাদের জন্য রিয্ক্ উৎপন্ন করিয়াছেন, এবং তোমাদের উপকারার্থে নৌকাগুলিকে (স্বীয় কুদরতের) বশীভূত করিয়া বানাইয়াছেন, যেন উহা আল্লাহ্ তা’আলা আদেশে সমুদ্রে চলে, এবং তোমাদের মঙ্গলের জন্য নহরসমূহকে বশীভূত করিয়াছেন,
وَسَخَّرَ لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَائِبَيْنِ ۖ وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ
বাংলা অর্থ:
৩৩। আর তোমাদের উপকারার্থে সূর্য ও চন্দ্রকে বশীভূত করিয়া দিয়াছেন, যাহা অনবরত চলিতেই রহিয়াছে, আর তোমাদের উপকারের জন্য রাত্রি ও দিনকে বশীভূত করিয়াছেন ,
وَآتَاكُم مِّن كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ ۚ وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ الْإِنسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ
বাংলা অর্থ:
৩৪। এবং যেই যেই বস্তু তোমরা চাহিয়াছ, প্রত্যেকটিই তোমাদিগকে (তোমাদের উপযোগী করিয়া) দিয়াছেন; আর আল্লাহ্ তা‘আলার নেয়ামত সমূহ যদি তোমরা গণনা করিতে আরম্ভ কর, তবে গণিয়া শেষ করিতে পারিবে না; সত্য কথা এই যে, মানুষ বড় অবিচারী, অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ ।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। এইখানে উপভোগ করার অর্থ কুফরী অবস্থায় থাকা। ইহা তাহাদের প্রতি ধমকী বিশেষ । (ব: কো:)
২। যেই দিন কোন বন্ধুত্ব থাকিবে না অর্থাৎ যে বন্ধুত্ব দুনিয়াতে আল্লাহর ওয়াস্তে হইবে না, তাহা আখেরাতে কোন কাজে আসিবে না। কিন্তু মুমিনগণ যে আল্লাহর ওয়াস্তে বন্ধুত্ব করিয়াছেন আখেরাতে তাঁহার সেই বন্ধুত্বের ফল পাইবে। ইহাতে তাহাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাইবে। (ব: কো:)
৩। যেন উহার পানি পান করিতে ও শস্যক্ষেত্র সিঞ্চণ করিতে পার এবং উহাতে নৌকা চালাইতে পার । (ব: কো:)
৪। যেন তোমরা উহা হইতে আলো ও উত্তাপাদি লাভ করিতে পার । (ব: কো:)
৫। কেননা তাহারা আল্লাহর নিয়ামত সমূহের মর্যাদা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, বরং উল্টা আরও বিধর্মাচরণ ও নাফরমানী করিতে আরম্ভ করে । (ব: কো:)
وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـٰذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الْأَصْنَامَ
বাংলা অর্থ:
৩৫। আর যখন ইব্রাহীম বলিলেন, হে আমার রব্ব! এই নগরকে নিরাপত্তাময় করিয়া দিন এবং আমাকে ও আমার বিশেষ বংশধরকে মূর্তি পূজা হইতে বাঁচাইয়া রাখুন।
رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ ۖ فَمَن تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي ۖ وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বাংলা অর্থ:
৩৬। হে আমার পরওয়ারদেগার ! এই মূর্তিগুলি বহু মানুষকে গোমরাহ্ করিয়া দিয়াছে, অনন্তর যে-ব্যক্তি আমার পথে চলিবে, সে তো আমারই, আর যে-ব্যক্তি আমার কথা না মানে- আপনি তো অতিশয় ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।
رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
বাংলা অর্থ:
৩৭। হে আমার রব্ব! আামি আমার বংশধরগণকে এমন এক প্রান্তরে বসাইতেছি যাহা কৃষির উপযোগী নহে, আপনার সম্মানিত গৃহের নিকট, হে আমাদের রব্ব ! যেন তাহারা নাামযের (বিশেষ) খেয়াল রাখে, অতএব , আপনি কতক লোকের মন তাহাদের প্রতি আকৃষ্ট করিয়া দিন এবং তাহাদিগকে ফল খাইতে দিন, যেন তাহারা শোকর করে।
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِن شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ
বাংলা অর্থ:
৩৮। হে আমার রব্ব! আপনার সমস্তই জানা আছে, যাহা আমরা নিজেদের অন্তরে (গোপন) রাখি এবং যাহা আমরা প্রকাশ করি; আর আল্লাহ্ তা‘আলা হইতে কোন বস্তুই লুক্কায়িত নহে, না যমীনে আর না আসমানে।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ ۚ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ
বাংলা অর্থ:
৩৯। সমস্ত প্রশাংসা আল্লাহ্তা‘আলারই যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে দান করিয়াছেন (দুই পুত্র) ইসমাঈলকে ও ইসহাককে; নিশ্চয় আমার পরওয়ারদেগার বড়ই প্রার্থনা শ্রবণকারী।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। হযরত ইব্রাহীম (আ:) হযরত হাজেরা ও ইসমাঈল কে খোদার আদেশ মক্কার ময়দানে আনিয়া রাখার সময় এই প্রার্থনা করিয়াছিলেন । (ব: কো:)
২। অর্থাৎ ইসমাঈলকে এবং তাহার মাধ্যমে তাহার বংশধরগণকে। (ব: কো:)
৩। যাহা আদিকাল হইতে এইখানে নির্মিত ছিল আবহমানকাল হইতে মানুষ যাহার সম্মান করিয়া আসিতে ছিল। (ব: কো:)
৪। যেন তাহারা দূর- দূরন্ত হইতে এইখানে আসিয়া বসবাস করিতে আরম্ভ করে। ফলে এইখানকার বসতির জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। (ব: কো:)
৫। প্রার্থনার মধ্যস্থলে কতিপয় নিআমতের বিনিময়ে প্রশংসা ও তৎপ্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়াছেন, যেন ইহার বদৌলতে প্রার্থনা কবুল হয়। (ব: কো:)
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
বাংলা অর্থ:
৪০। হে আমার পরওয়ারদেগার ! আমাকেও নামাযের (বিশেষ) পাবন্দ করিয়া রাখুন এবং আমার বংশধরগণের মধ্য হইতেও কতককে, হে আমার রব্ব ! আমার দো‘আ কবূল করুন।
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
বাংলা অর্থ:
৪১। হে আমার পরওয়ারদেগার !ক্ষমা করুন আমাকে ও আমার মা-বাপকে এবং সমস্ত মু‘মেনকেও হিসাব কায়েম হওয়ার দিন।
وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ ۚ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الْأَبْصَارُ
বাংলা অর্থ:
৪২। আর এই অনাচারীরা যাহাকিছু করিতেছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা‘আলাকে বে-খবর মনে করিও না; তিনি তাহাদিগকে কেবল অবকাশ দিয়া রাখিয়াছেন সেই দিন পর্যন্ত, যেইদিন ইহাদের চক্ষুগলি বিস্ফরিত হইয়া থাকিবে,
مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ لَا يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ ۖ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ
বাংলা অর্থ:
৪৩। দৌড়িতে থাকিবে, আপন মস্তক সমূহ ঊর্ধ্বমুখী করিয়া রাখিবে, তাহাদের দৃষ্টি তাহাদের দিকে ফিরিয়া আসিবে না, এবং তাহাদের অন্তর দিশাহারা হইয়া পড়িবে;
وَأَنذِرِ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمُ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ نُّجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَ ۗ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُم مِّن قَبْلُ مَا لَكُم مِّن زَوَالٍ
বাংলা অর্থ:
৪৪। আপনি ঐ লোকদিগকে সেই দিনের ভয় প্রদর্শন করুন, যেই দিন তাহাদের উপর আযাব আসিয়া পড়িবে, তখন এই যালেমরা বলিবে, হে আমাদের রব্ব ! আমাদিগকে সামান্য সময় অবকাশ দিন, আমরা আপনার সমস্ত আদেশ মানিয়া লইব এবং রাসূলগণের অনুসরণ করিব; (আল্লাহ্ বলিবেন) তোমরা কি ইতিপূর্বে শপথ কর নাই যে, তোমাদের কোথাও যাইতে হইবে না ।
وَسَكَنتُمْ فِي مَسَاكِنِ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمُ الْأَمْثَالَ
বাংলা অর্থ:
৪৫। অথচ তোমরা এমন লোকদের বাসস্থানে বাস করিতে – যাহারা নিজেদের ক্ষতি করিয়াছিল এবং তোমাদের জানা ছিল যে, আমি তাহাদের সহিত কিরূপ ব্যবহার করিয়াছিলাম এবং তোমাদের নিকট দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করিয়াছিলাম ।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। অর্থাৎ নামাযের প্রতি গুরুত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যেই আমি আমার সন্তানগণকে সম্মানিত গৃহের সন্নিকটে বসাইবার জন্য প্রার্থনা করিতেছি; অতএব, তাহা পূর্ণ করুন। নামাজের গুরুত্ব তাহাদের ও আমার জন্য একইরূপ। অতএব, সকলের জন্য আমার এই প্রার্থনা। যেহেতু ওহী দ্বারা আমি জানিতে পারিতেছি যে, তাহাদের কতক কাফেরও হইবে । তাই প্রার্থনা এই যে, আমাকে এবং আমার কতক বংশধর কে নামাযের পাবন্দ করুন। (ব: কো:)
২। অর্থাৎ দীর্ঘকাল অবকাশ দেওয়ার ফলে তোমরা শপথ করিয়া বলিতে, ক্বিয়ামত কখনও হইবে না । (ব: কো:)
৩। নবীগণের মুখে উক্ত ঘটনাবলী শ্রবণ করা, আমার বর্ণনা, আবার দৃষ্টান্ত স্বরূপ বর্ণনা দ্বারা সাবধান কর এতসবের পর ক্বিয়ামতের প্রতি তোমাদের বিশ্বাস করাই উচিত ছিল । (ব: কো:)
وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِندَ اللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ
বাংলা অর্থ:
৪৬। আর তাহারা যথাসাধ্য বড় বড় ষড়যন্ত্র করিয়াছিল এবং তাহাদের ষড়যন্ত্র আল্লাহ্ তা আলার সম্মুখেই ছিল; বস্তুত: তাহাদের ষড়যন্ত্র এমন ছিল যে, তাহাতে পাহাড়সমূহও টলিয়া যাইত।
فَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِ رُسُلَهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ ذُو انتِقَامٍ
বাংলা অর্থ:
৪৭। সুতরাং আল্লাহ্ তা‘আলাকে কখনও ওয়াদাভঙ্গকারী মনে করিও না তাঁহার রাসূলগণের সহিত; নি:সন্দেহে আল্লাহ্ তা‘আলা প্রতাপশালী, পূর্ণ প্রতিশোধ গ্রহণকারী ;
يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ ۖ وَبَرَزُوا لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ
বাংলা অর্থ:
৪৮। যে-দিন এই পৃথিবীকে অপর এক পৃথিবীতে পরিবর্তন করিয়া দেওয়া হইবে এবং আসমানকেও, আর সকলে এক মহাপ্রতাপশালী আল্লাহর উপস্থিত হইবে।
وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ مُّقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ
বাংলা অর্থ:
৪৯। এবং সেইদিন তুমি অপরাধীদিগকে শিকল দ্বারা আবদ্ধ দেখিবে,
سَرَابِيلُهُم مِّن قَطِرَانٍ وَتَغْشَىٰ وُجُوهَهُمُ النَّارُ
বাংলা অর্থ:
৫০। তাহাদের জামা হইবে গন্ধকের, আর অগ্নি তাহাদের মুখমন্ডলে লেপটাইয়া পড়িবে,
لِيَجْزِيَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
বাংলা অর্থ:
৫১। যেন আল্লাহ্ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার কৃতকর্মের শাস্তি দেন; নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ত্বরিত হিসাব গ্রহণকারী ।
هَـٰذَا بَلَاغٌ لِّلنَّاسِ وَلِيُنذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَـٰهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ
বাংলা অর্থ:
৫২। ইহা মানুষদের জন্য বিধানাবলী প্রচার এবং যেন তদ্দারা ভয় প্রদান করা হয়, আর যেন এই বিশ্বাস করে যে, তিনিই প্রকৃত মা‘বূদ এবং যেন জ্ঞানবানরা নছীহত হাছিল করে।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা শানে নুযুলঃ
১। অর্থাৎপূর্ব- যুগের কাফেরেরা সত্যকে পরাভূত করার জন্য এমন বড় বড় ষড়যন্ত্র করিয়াছিল যে, তদ্দারা পাহাড় সমূহ টলিয়া যাইত। তথাপি সত্যেরই জয় এবং তাহাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হইয়ছিল। অবশেষে তাহাদিগকে ধ্বংস করিয়া দেওয়া হইল। ইহাতেও বুঝা যায় যে, পয়গম্বরগণের বাণী সত্য। অবিশ্বাস করিলে আল্লাহর গযব আপতিত হইবে।
২। তিনি রসূলদের মারফতে অবিশ্বাস কারীদের প্রতি যেই শাস্তির হুকুমি দিয়াছেন তাহা ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই পূর্ণ হইবে।
৩। কেননা, প্রথম বার সিঙ্গা ফুঁকিবার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত যমীন ও আসসান চূর্ণ – বিচূর্ণ হইয়া যাইবে। অনন্তর দ্বিতীয় বার ফুঁকিবার সাথে সাথে নূতন করিয়া সৃষ্টি হইবে। (ব: কো:)
৪। অর্থাৎ সারা দেহে গন্ধক মাখান হইবে যেন দ্রুত তীব্রতার সহিত আগুন ধরিতে পারে। (ব: কো:)
সূরা রা’দ এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা ইউসুফ এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা হুদ এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা ইউনুস এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আত-তাওবা এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আনফাল এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আরাফ এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আনআম এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আল-মায়েদা এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সূরা আন-নিসা এর বাংলা অনুবাদ ও শানে নজুল পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
আমাদের, ফেসবুক পেইজে লাইক, শেয়ার এবং কমেন্টস করে আমাদের সাথেই থাকুন।
সূরা ইব্রাহিম বাংলা