নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনা করা ওয়াজিব

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়াল

নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) সাবীদের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা এবং মিথ্যুক রাবীদের প্রত্যাখ্যান করা ওয়াজিব:- জেনে রাখ, যেসব লোক সহীহ এবং নির্ভুল হাদীসের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ে সক্ষম এবং নির্ভরযোগ্য ও অনির্ভরযোগ্য রাবীদের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা রাখে, তাদের প্রত্যেকের কর্তব্য হচ্ছে, তারা কেবল এমন হাদীস বর্ণনা করবেন যেগুলোর উৎস সহীহ এবং তার রাবীগণও নির্দোষ প্রমাণিত। অপরদিকে, তারা এমন হাদীস বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকবেন যেগুলো অভিযুক্ত ও বিদআতী লোকদের থেকে বর্ণিত।

আমরা যে কথা বললাম এর সমর্থনে এমন এক মজবুত দলীল উপস্থাপন করবো যা মেনে নেয়া অপরিহার্য এবং তার বিরোধিতা করার মত ধৃষ্টতা প্রদর্শন করার কোন সুযোগ নেই। তা হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার বাণী:
অর্থ : ‘‘হে ঈমানদারগণ, যদি কোন ফাসিক ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশতঃ কোন মানব গোষ্ঠীর ক্ষতি সাধন করে বসবে আর পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে’’। (সূরা হুজুরাত : ৬)

অপর এক আয়াতে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ
অর্থ : ‘‘তোমাদের পছন্দমত সাক্ষী নিযুক্ত কর’’। (সূরা বাকারা : ২৮২)

তিনি আরো বলেনঃ
‘‘তোমাদের মধ্যকার দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী বানাবে’’। (সূরা তালাক : ২)

কাজেই এসব আয়াত থেকে প্রমাণ হচ্ছে যে, ফাসেক ব্যক্তির খবর বাতিল এবং গ্রহণের অযোগ্য। এবং যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয় তার সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যাত। (এখানে একটি প্রশ্ন উঠতে পারে যে, উল্লিখিত আয়াতগুলোতে সাক্ষ্য (শাহাদাত) সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। অথচ আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে হাদীসের রেওয়ায়েত। সুতরাং রেওয়ায়েতের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য সম্পর্কিত আয়াতের অবতারণা করা হল কেন?)

রেওয়ায়েত ও শাহাদাত বিভিন্ন কারণে যদিও পৃথক জিনিস এবং এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু এ দু’টি শব্দ একটি ব্যাপক অর্থের মধ্যে এক ও অভিন্ন। বিশেষজ্ঞদের কাছে ফাসিক ব্যক্তির খবর যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি তার শাহাদাত বা সাক্ষ্যও সবার নিকট প্রত্যাখ্যাত। বস্তুত আল-কুরআন যেভাবে ফাসিকের খবর পরিত্যাজ্য বলেছে- অনুরূপভাবে সুন্নাতে রাসূল তথা হাদীস থেকে মুনকার রেওয়ায়েত বর্ণনা করাও নাজায়েয বলে প্রমাণিত। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রসিদ্ধ হাদীসে রয়েছে, তিনি বলেছেন :
‘‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে আমার নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে সে মিথ্যাবাদীদের একজন’’।

(মুসলিম শরীফঃ অনুচ্ছেদ-১)

সূরা ফাতিহা পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ০১ হতে ৪৮ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৪৯ হতে ৭১ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৭২ হতে ৮৯ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ৯০ হতে ১০২ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১০৩ হতে ১১৩ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১১৪ হতে ১২৬ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১২৭ হতে ১৩৬ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৩৭ হতে ১৪৮ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৪৯ হতে ১৬৪ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৬৫ হতে ১৭৯ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-
সুরা-বাকারাহ্ এর আয়াত ১৮০ হতে ১৮৯ পর্যন্ত বাংলা অর্থ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন-